গমের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

সাখাওয়াত হোসেন

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩, ০৫:২৪ পিএম


গমের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনার ঈশ্বরদীতে আগাম বোনা গম কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এ উপজেলার কৃষকেরা।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মাঠে দেখা যায় গমের আবাদ। কৃষকেরা বলছে তুলনামূলক অন্য ফসল আবাদের চেয়ে গম আবাদে খরচ কম, সেচ, কীটনাশক সার, লেবার থেকে শুরু করে পোকামাকড়ের আক্রমন কম হওয়া এবং খরচ কম হওয়ায় লাভজনক।

এছাড়াও এবার গম চাষের অনুকূল আবহাওয়া থাকায় তেমন পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারেনি। এজন্য বাড়তি কীটনাশক দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। যারা গম কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন তারা বলছেন বিগত বছরের তুলনায় এ বছরে গমের ফলন অনেক ভালো হচ্ছে। এবার এক বিঘা জমির গম মাড়াই করে ১৫ থেকে ১৬ মণ গম পাচ্ছেন। বাজারে  প্রতি মণ গম ১৬ শত থেকে সাড়ে ১৭ শত টাকা করে দাম পাচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষক ও  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন, মৌসুমের শুরুতে সরকারিভাবে বিনামূল্যে কৃষকদের গম চাষে আরো বেশি আগ্রহী করতে কৃষি বিভাগের তত্বাবধানে এক হাজার কার্ডধারী কৃষকদের উন্নত জাতের বারি গম বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া উপযুক্ত পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে কিভাবে আরো গমের ফলন বাড়ানো যায় সে বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয় স্থানীয় কৃষি অফিস।

বুধবার (১৫ মার্চ) সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মাঠের যে দিকেই চোখ যায় সোনালি আধা পাকা শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। কোন কোন জমিতে গম এখনও কাঁচা আছে তবে আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে গম পেকে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন চাষিরা।

উপজেলার কৃষক সুমন কুমার জানান, এবার তিন বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। এবছর সার ও বীজের দাম বেশি হওয়ায় বিঘা পতি পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি ভালো ফলনের আশায় বারি -৩৩ জাতের গমের আবাদ করেছেন। অধ্যাপক আলমাস আলী আরো বলেন, তিনি বিঘা প্রতি জমিতে ১৫ মন হারে ফলন পাওয়ার আশা করছেন। এদিকে গমের বাজারমূল্য ভালো হওয়ায় অন্য কৃষকেরা গম চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার একাত্তর পোস্ট কে জানান, এ বছর ১৯৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষের  লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২০৫০ হেক্টর জমিতে। উপজেলায় মোট ৭১৯৬ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষি অফিস কৃষকদের বারি-৩৩, বারি-৩২, বারি-৩১ ও বারি-৩০ জাতের গম আবাদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার কমবেশি সব এলাকায় গমের আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের বিনামূল্যে সার, উন্নতজাতের বারি গম বীজ বিতরণ করা হয়। এছাড়া সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও তদারকি করছে উপজেলা কৃষি অফিস।

তিনি আশা প্রকাশ করেন অন্য বছরের চেয়ে এ বছর গমের বাম্পার ফলন হবে ও ভালো দাম থাকায় কৃষকেরা লাভবান হবেন।

Link copied