পতিত জায়গায় বস্তায় আদা লাগিয়ে লাভবান হতে চায় রুবেল

মনিরুজ্জামান মুন, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ৬ অগাস্ট ২০২৩, ০৯:৩৬ পিএম


পতিত জায়গায় বস্তায় আদা লাগিয়ে লাভবান হতে চায় রুবেল

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাঠের গুড়া, মাটি, জৈব ও রাসায়নিক সার মিশ্রণ করে তা বস্তায় ভরানো হয়। বস্তায় বেশকিছুদিন রাখার পর উপযুক্ত সময় হয়ে এলে সেখানে আদা চাষ করা হয়।

এতে অল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়। আদা চাষের এই পদ্ধতি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জনপ্রিয় হলেও বাণিজ্যিকভাবে লালমনিরহাটে চাষ হয়নি কখনও।

তবে এবছর জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার আব্দুর রাজ্জাক রুবেল নামের একজন স্কুল শিক্ষক এ পদ্ধতি অবলম্বন করে বাণিজ্যিক ভাবে প্রায় এক একর সুপারি বাগানের ৪০ শতাংশ জমিতে আদা চাষ করেছেন।

অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে বাড়তি আয়ের নেশা ও প্রধানমন্ত্রীর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষক রুবেল তার সুপারি বাগানে ৫৫০০ বস্তায় আদা চাষ করেছেন। আদার ভালো ফলন, বাজার চাহিদা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাত্র চল্লিশ শতাংশ জমি থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা আয় হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আলহাজ্ব সমসের উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আদা চাষী আব্দুর রাজ্জাক রুবেল জানান, অবসর সময়কে কাজে লাগাতে ও বাড়তি আয় করতে পতিত জমিতে লাভজনক চাষাবাদ করার পদক্ষেপ খুজতে থাকেন ইউটিউবে।

পরে স্থানীয় কৃষি অফিস ও কৃষিবিদদের সাথে কথা বলে হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে আধুনিক পদ্ধতিতে আদা চাষ লাভজনক হবে বলে জানতে পারেন। ইচ্ছেশক্তি, পরিশ্রম ও পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ম মেনে আদা চাষ করতে আদাবীজ, বস্তা, কাঠের গুড়া, মাটি সংগ্রহ করে আদা চাষের জন্য জৈব ও রাসায়নিকসার মিশিয়ে বস্তা প্রস্তুত করেন।

প্রস্তুতকৃত বস্তা ১০-১২ দিন রাখার পর বস্তায় ভর্তি করে সুপারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে রেখে আদার বীজ রোপন করা হয়। এই পদ্ধতিতে আদা চাষে সব মিলে প্রতি বস্তায় খরচ হবে প্রায় ৪০ টাকা। প্রতি বস্তায় ৭০০ গ্রাম থেকে ১.৫ কেজি পর্যন্ত আদার ফলন হতে পারে। এতে মোট ২ লক্ষ টাকা খরচের বিপরীতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আয় হবে এমন দাবি আব্দুর রাজ্জাক রুবেলের।

Link copied