ভাসমান সবজি চাষে স্বাবলম্বী
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২২, ০৫:১৯ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত
গাইবান্ধায় পানিতে ডুবে থাকা বিভিন্ন বিলে ভাসমান সবজি চাষের বিপুল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষে খরচ কম, আয় বেশি হওয়ায় স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা।তাদের এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসছে মেলোনাইস সেন্ট্রাল কমিটি বাংলাদেশের (এমসিসিবি) আওতাধীন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদয়ন স্বাবলম্বী সংস্থার ফুড সিকিউরিটি প্রজেক্ট।
গাইবান্ধা সদর উপজেলাসহ নদ-নদীবেষ্টিত ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে সংস্থাটি।
সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা বিল রাস্তার পাশে ভাসমান বেডে সবজি চাষ করা হয়েছে। পরপর ভাসমান ৮টি বেড। তাতে চাষ করা হচ্ছে কলমি, লাল, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন রকমের সবজি। শুরুতে ভাসমান বেডে পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করা হলেও সফলতা মেলায় এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন চাষিরা। তুলনামূলক চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।
এ বছর সাঘাটার তিনটি পয়েন্টে পরীক্ষামূলক এ চাষ করা হয়েছে।
ভাসমান সবজি চাষি বিলকিস বেগম বলেন, উদয়ন এনজিও থেকে মমতা আপা এসে ডোবার মধ্যে ভাসমান বেডে সবজি চাষ করতে বলেন। তার নির্দেশনায় বেড তৈরি করি। নাছিমা বেগম, শরিফা বেগম, তহমিনা বেগম মিলে ডোবায় ছয়টি বেডে সবজি চাষ করি। একটিতে কলমি শাক, একটিতে লাল শাক, একটিতে পুই শাক ও একটিতে ডাটা শাক আবাদ করি। এমন সবজি চাষের অভিজ্ঞতা নতুন। যে ফলন হয়েছে তাতে নিজেরা খেয়েও সপ্তাহে ৩-৪শ টাকা বিক্রি করতে পারছি। সবজি চাষি তহমিনা বেগম বলেন, কলমি শাক আবাদ করেছি। একদিন পরপর শাক তুলি। কিছু খাই, কিছু বিক্রি করি। ভালোই হয়েছে। খাওয়াও যায়, বেচাও যায়। পরেরবার আরও বেশি করে আবাদ করবো।
লাল শাক বেডে পরিচর্যা করতে আসা শরিফা বেগম বলেন, ‘হামার ঘরে সবজি চাষ দেখিয়া গ্রামের সবাই করবের চাবার নাগছে। হামরা খুব খুশি। এ মাসে হাজার বারোশ টাকার শাক বেঁচচি।’
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ হাওরাঞ্চলে বেশি হয়। গাইবান্ধার একটি উন্নয়ন সংস্থা ভাসমান বেডে সবজি চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্থাটি সাঘাটা উপজেলার তিনটি স্থানে প্রাথমিকভাবে সবজি চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। এ উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে ভাসমান সবজি চাষে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে। ইতোমধ্যে তার উপসহকারী কৃষি অফিসাররা তদারকি করছেন।