প্রতিবন্ধী শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের প্রকল্প

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১২:২০ এএম


প্রতিবন্ধী শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের প্রকল্প

ছবিঃ সংগৃহীত

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাইটসেভার্স, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং সেন্স ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা বিষয়ক একটি কনসোর্টিয়াম প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পটি যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের অর্থায়নে প্রতিবন্ধিতা মূলক উন্নয়ন কর্মসূচির টাস্ক অর্ডার ৪৫-এর অধীনে বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার আমারি হোটেলে গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী এম আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।

যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এডিডি ইন্টারন্যাশনাল, সেন্টার ফর ডিসেবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র, সেন্স ইন্টারন্যাশনাল এবং সাইটসেভার্স।

প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা-প্রকল্পের লক্ষ্য প্রতিবন্ধী শিশুদের ভর্তি করা, তাদের ঝরে পরা রোধ করা এবং শিশুরা বিদ্যালয়ে এমনভাবে শিখবে যেন তারা আত্মবিশ্বাসী হতে পারে এবং স্বাভাবিক শিশুদের মতো সমানভাবে অংশ নেওয়া। প্রকল্পটি স্কুলের প্রতিবন্ধিতা-বিষয়ক অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, রেফারেল পদ্ধতির উন্নতি এবং বাসা-ভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, “বাংলাদেশ সরকার দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং আরও ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতার আরও বেশি প্রয়োজন।”

স্বাগত বক্তব্যে সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও বলেন, “কোভিড-১৯ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। ২০২০-এর মার্চ থেকে ২০২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় দুই বছর ধরে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এই পরিস্থিতি অনেক শিশুকে অরক্ষিত করে তুলেছে-বিশেষ করে যারা প্রতিবন্ধী শিশু, কারণ তাদের অনেকেই শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।”

Link copied