ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে গেলেন অটোরিকশা চালক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৮ পিএম

ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চাপায় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় অটোরিকশা। ছবিঃ মোঃ সবুজ
ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চাপায় দুই কলেজছাত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে । যদিও দুর্ঘটনায় অটোরিকশা চালক কাদের (৩৫) মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তুু পরে খোজ নিয়ে জানা যায় তিনি বেঁচে আছেন। বর্তমানে সে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল বিকেল ৫টায় তার জ্ঞান ফিরেছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় কাদেরের শ্যালক মো.মাইনুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত অটোরিকশা চালক মো.কাদের দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের উত্তর জয়নগর গ্রামের তালতলি মিঝি বাড়ির মো.সিরাজ মিঝির ছেলে।
মাইনুদ্দিন জানান, দূর্ঘটনার পর স্থানীয়রা কাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় বাংলাবাজারের নিরব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। তখন ডাক্তার কাদেরকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। এরপর কাদেরকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর তার দেহ নড়াচড়া করে। তাৎক্ষণিক বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভোলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
তিনি আরো বলেন, বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পথে ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে স্পিডবোটে তুলে রওনা হওয়ার পর তার সমস্ত শরীর শক্ত হয়ে যায়। তখন আমরা ভেবেছিলাম দুলাভাই মারা গেছে। তখন অনেকেই আমাদের কাছে ফোন দিয়েছে। যারা যারা ফোন দিয়েছে আমরা তাদেরকে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর খবর দিয়েছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, দুলাভাই এখনো বেঁচে আছেন। শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাঁর শরীর শক্ত হয়ে গেছে। এরপর স্পিডবোট থেকে নামিয়ে হাসপাতালে দুলাভাইকে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ভর্তি করানোর পর তার শরীরে অক্সিজেন ও স্যালাইন দেয়। বিকেল ৫টার দিকে তার জ্ঞান ফিরে আসে। এখনো তিনি কোনো কথা বলতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে চোখ মেলে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছেন। এখনো কথা বলতে পারছেন না। দুর্ঘটনায় তার মাথা ফেটে যাওয়ায় ১৪টি সেলাই লেগেছে। তার কোমর, মুখমণ্ডল ও হাত-পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনার পর কাদেরসহ ৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল পুলিশ। পুলিশ বলেছিল, শেবাচিম নেয়ার পথে কাদেরের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও কাদেরের নিকটবর্তী এলাকার বাসিন্দারাও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।