ভোলায় বাস চাপায় নিহতের ঘটনায় মামলা
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩, ০১:২১ পিএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
ভোলায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজছাত্রীসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশের এক এএসআই বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় মামলাটি করেন। বাসের চালক মো.আল আমিন কে প্রধান আসামী ও সুপারভাইজার কে দ্বিতীয় এবং সহকারীকে তৃতীয় আসামি করে মামলটি করা হয়।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার প্রধান আসামি বাস চালক মো.আল-আমীন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বাসটির সুপারভাইজার ও সহকারী একই উপজেলার কর্তারহাট বাজার এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার পর পুলিশ বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জের হাট বাজার এলাকা থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু বাসটির সুপারভাইজার ও সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর শুক্রবার বিকেলে এএসআই রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় মামলাটি করেন। মামলার এক নম্বর আসামি বাসের চালক আল-আমীনকে বিকেলে দৌলতখান থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে সে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের হেফাজতে ছিল।
এদিকে ওই দুর্ঘটনায় দুই কলেজছাত্রীসহ তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
গতকাল (শুক্রবার) সকাল ৯ টার দিকে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে বাংলাবাজার সংলগ্ন ওতোরুদ্দিন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহন নামে একটি দ্রুত গতির বাস একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই কলেজছাত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অটোরিকশা চালককে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিকেল ৫ টায় তার জ্ঞান ফিরে। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।