বিএনপির সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
রাজবাড়ীতে ১০ দফা দাবিতে বিএনপির জনসমাবেশ ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের আদর্শ মহিলা কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পৌর কাউন্সিলর ফারজানা ইয়াসমিন ডেইজি, নুরুল ইসলামসহ কয়েকজনকে আটক করে।
এর আগে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে শনিবার (২০ মে) দুপুর ১২টায় জেলা বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গনে জনসমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসুকুর রহমান, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম।
এদিকে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সাংসদ আলী নৈওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম তার বাসা থেকে বের হতে গেলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি করেন। এসময় পুলিশ পৌর কাউন্সিলর ফারজানা ইয়াসমিন ডেইজি, নুরুল ইসলামসহ কয়েকজনকে আটক করে।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহের সময় এখন টেলিভিশনের রাজবাড়ী প্রতিনিধি কাজী তানভীর মাহমুদ ও গ্লোবাল টেলিভিশনের রাজবাড়ী প্রতিনিধি খন্দকার রবিউল ইসলাম মজনু আহত হন।
এ ঘটনায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সাংসদ আলী নৈওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় রাজবাড়ী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। পরবর্তীতে আমরা মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, আজ আমার মনে দাগ লেগে গেল, আমার গাড়ির ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছে। তারা শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি ডেকে আনছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা শত বাঁধা পেরিয়ে সমাবেশ স্থলে এসেছে। আজ তারা সরকারকে দেখতে চায় না।
অপরদিকে সকাল ১০টা থেকে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, যুবলীগের সভাপতি শওকত হাসান, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা চৈতির নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
এ প্রসঙ্গে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, বিএনপির সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।