করোনা সুরক্ষা সরঞ্জামাদি ব্যাবহার হচ্ছে রান্নার কাজে
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৫০ পিএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
বরগুনা সদর হাসপাতালে করোনা সুরক্ষা সরঞ্জাম এখন পরে আছে হাসপাতালের রান্নাঘরে।
সরকারি এসব সম্পদ ফেলে দিয়ে সমালোচনার মুখোমুখি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠেছে কেন তারা সরকারি সম্পদ এভাবে নষ্ট করছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই সামান্য দ্বায়িত্ব কি নেই।
এমন প্রশ্ন এখন বরগুনার সাধারন মানুষের মধ্যে। একই সাথে প্রশ্ন উঠেছে, এখানে যারা দ্বায়িত্বে থাকেন তারা বরাবরই দ্বায়িত্বে অবহেলা করেন। রোগী ও তাদের পরিবারের সাথে খারাপ আচরণ বরগুনা সরকারি হাসপাতালের কমন ব্যাপার হয়ে পড়েছে।
প্রশ্ন রয়েছে এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে। একই সাথে সেবিকাদের অবহেলা তো রয়েছেই।
গতকাল বুধবার (১৯ই অক্টোবর) দুপুরে বরগুনা সরকারি হাসপাতালের রান্নাঘরে এলোমেলো ভাবে পরে থাকতে দেখা গেছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদী (পিপিই)।
রান্না কাজে ব্যাবহত জ্বালানী কাঠের গুদামে এই সরঞ্জামের সন্ধান পাওয়া গেছে। কেউ কেউ বলছে এগুলো এখন রান্না কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে রোগীদের সেবাদানকারী চিকিৎসক ও নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি ভাবে এই পিপিই সরবরাহ করা হয়েছিলো।
পিপিই গুলো হাসপাতালের গুদামে সংরক্ষণ না করে কেন পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার সোহরাব হোসন বলেন, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি পৌরসভার হারুন নামের একজন পরিচ্ছন্নকর্মী কার্টুন থেকে এগুলো ফেলে রেখে কার্টুন নিয়ে বিক্রি করেছে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে ওখান থেকে ৪০/৫০ পিচ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ দিকে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সরঞ্জামাদী গুদামে সংরক্ষণ না হয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রইল। এটা দায়িত্বের অবহেলা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই তাদের দায় এড়াতে পারেন না।
এ ব্যাপারে বরগুনার সিভিল সার্জন ডাক্তার ফজলুল হক বলেন, সরকার আমাদের সুরক্ষার জন্য পিপিই দিয়েছে। এগুলো সরকারি সম্পদ। সব কিছুর হিসাব দিতে হবে। অরক্ষিত বা ফেলে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।