নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্থান
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২, ১২:০৭ এএম

ছবিঃ সংগৃহীত
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান। এর মধ্যে দিয়ে ১৩ বছর পর আবারও ফাইনালে খেলার সৌভাগ্য হল পাকিস্তানের। এর আগে ২০০৭ ও ২০০৯ সালে ফাইনালে খেলেছিল দলটি।
৩০ বছর পরেও পাকিস্তান ভূত তাড়া করে গেল নিউজিল্যান্ডকে। আরও এক বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারতে হল কিউয়ি বাহিনীকে।
নিউজিল্যান্ডকে সহজে হারিয়ে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেন বাবর আজমরা।
বলা হয়ে থাকে, ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল দল পাকিস্তান। এই তকমাটা শুধুমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গেই মানায়।
কারণ, বরাবরই অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় এসেছে পাকিস্তান দল। এবার অস্ট্রেলিয়ায় চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরেও যার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি।
সুপার টুয়েলভে প্রথম দুই ম্যাচে হারের পরও নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল বাবর আজমের দল।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, গত আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। তবে শুরুটা ভালো হয়নি কিউইদের।
প্রথম ওভারেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফিন অ্যালেন। আরেক ওপেনার কনওয়ে চেষ্টা করেন ইনিংসটা টেনে নেওয়ার।
কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি এ কিউই ব্যাটার। পাওয়ার প্লের শেষ বলে দলীয় ৩৮ রানে রানআউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। শাদাব খানের সরাসরি থ্রোয়ে ২০ বলে ২১ রান করে আউট হন।
বোলিংয়ে পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৪ রানে দুই উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ ও শিকার করেন ১টি করে উইকেট।
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল মানেই হারের বৃত্তে বন্দী কিউইরা। বিশ্বকাপের মতো আসরে তিনবার পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে। তিনবারই জয় পেয়েছে পাকিস্তান। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছে আসরের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে কোণ ঠাঁসা হয়ে পড়া পাকিস্তান।