পোশাকশিল্পে পাঁচ বছর উৎসে কর ০.৫০ শতাংশ কার্যকরের দাবি
প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত
দেশের সর্ববৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী পোশাকশিল্পের রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর এক শতাংশ থেকে হ্রাস করে আগের মতো শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
পেশাকশিল্পের সবচেয়ে বড় এ সংগঠনটি জানায়, এটা করা হলে শিল্প টিকে থাকবে, রাজস্ব আসবে ও আরও নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পাশাপাশি এ খাতের উদ্যোক্তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মধ্যমেয়াদি ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) উত্তরা বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘পোশাক শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। এ সময় বিজিএমইএ পর্ষদ সদস্য ছাড়াও অন্যান্য উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আসন্ন বাজেটে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি থেকে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১০ শতাংশ করার অনুরোধ জানাই।
একইভাবে আমরা তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানাই। যেহেতু নগদ সহায়তা কোনো ব্যবসায়িক আয় নয়, তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তিসংগত।
ফারুক হাসান বলেন, আমাদের সুপারিশগুলো বিবেচনার জন্য আজকের এই সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে আগের মতো ০.৫০ শতাংশ করে আগামী ৫ বহর পর্যন্ত কার্যকর করা।
তিনি বলেন, এটা করা হলে উদ্যাক্তারা মধ্যমেয়াদি ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারবেন। আমরা বিবিধ খরচকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করে স্বাভাবিক হারে (৩০ শতাংশ) কর আরোপ না করে করপোরেট কর হার ১২ শতাংশ হারে আরোপ করার দাবি জানাই।