শীতে সর্দি-কাশি দূর করার কিছু উপায় জেনেনিন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ জানুয়ারী ২০২৩, ০২:৫৭ পিএম


শীতে সর্দি-কাশি দূর করার কিছু উপায় জেনেনিন

ছবিঃ সংগৃহীত

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শীতের সময়ে ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, গলা ব্যাথা সহ আরও অনেক ধরনের রোগে ভুগছেন অনেকে। এসব অসুখ যেন কিছুতেই সারছে না। কিছু ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তৈরি করা ‘হোম রেমিডি’ ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, গলা ব্যাথার মতো সমস্যায় দারুন কাজ দিতে পারে।

প্রচুর তরল জাতীয় খাবার 
সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে প্রচুর পানিয় পান করা দরকার। এজন্য খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল জাতীয় খাবার। নাক, গলা, মুখ আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে পানি ও তরল জাতীয় খাবার। এজন্য বেশি বেশি খান হবে স্যুপ, ডাব, হারবাল চা ইত্যাদি। ।  

ভিটামিন সি
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। এ ছাড়া ত্বক ও হাড়ের কোলাজেনের সুরক্ষা দিতে, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন সি উপকারী। সর্দি-কাশিতে ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার দারুন কার্যকর। এই সময় লেবু, পেয়ারা, মাল্টা, আমলকী, কমলা প্রভৃতি ফল বেশি বেশি খান।

লেবুর মিশ্রণ
দারুচিনির সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে সর্দিকাশি সহজেই দূর হয়।
প্রণালী : দারুচিনি, মধু ও লেবু একসঙ্গে মিশিয়ে সিরাপের মত বানান। এরপর সেই পানীয় নিয়মিত সেবন করুন।  

গাজর
গাজরকে বলা হয় সুপারফুড। গাজরে থাকা ভিটামিন ‘এ’ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শ্বাসযন্ত্রের অসুখ দূরে রাখে। সর্দি-কাশির সমস্যায় এই পানীয় দারুন কাজ দেয়।
প্রণালী : এক কেজি পরিমাণ গাজর টুকরো টুকরো করে কেটে বা ব্লেন্ড করে পানিতে বেশ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এবার সেই পানি সহনীয় গরম অবস্থায় পান করুন। আবার কিছু মসলা যোগ করে গাজরের স্যুপও খেতে পারেন।  

আদা 
আদার মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য যা সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। আদার মধ্যে থাকা থার্মোজেনিক বৈশিষ্ট্য দেহে তাপ উৎপাদন করতে সাহায্য করে। শীতের সময় বা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে গরম তথা সর্দি-কাশি সারাতে দারুণভাবে কাজ করে আদা।
প্রণালী : দিনে কয়েকবার আদা দিয়ে তৈরি চা পান করুন। আদার রস গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাঝে মাঝে খেতে পারেন। সামান্য লবনের সঙ্গে আদা চিবিয়েও খেতে পারেন। আদার রসের সঙ্গে তুলসি পাতা বাঁটা এবং মধু মিশিয়ে খেলেও কাশি কমে যায়।  

রসুন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং সর্দি-কাশির সমস্যায় দারুন ভূমিকা রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রসুন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ রক্তসঞ্চালন উন্নত করে এবং কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে রসুন। রসুনে থাকা অ্যান্টিব্যাকটারিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান সংক্রমণ রোধে ভূমিকা রাখে।
প্রণালী : কয়েক কোয়া (চার-পাঁচটি) রসুন ঘি বা সরিষা তেলে হালকা একটু ভেজে গরম গরম খেয়ে ফেলুন। খেতে পারেন রসুনের তৈরি স্যুপ। ভাতের সঙ্গেও কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়া যায়।  

গরম পানির ভাপ 
সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে মুক্তি পেতে লবণ পানিতে গার্গল করার মতোই বেশ কার্যকর উষ্ণ পানিতে ভাপ নেওয়া। উষ্ণ বাতাস সর্দি কমাতে এবং ফুসফুস সচল রাখতে সহায়তা করে। সকাল-বিকেল উষ্ণ পানিতে ভাপ নিয়ে ফ্লু থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আপেল চা
আপেলে থাকা ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ও ফ্যাট কমায়। শ্বাষ কষ্টের রোগীদের জন্য আপেল বেশ কার্যকর।  

প্রণালী : প্রথমে একটি আপেল টুকরো টুকরো করে কাটুন। এরপর পানিতে সেগুলি সিদ্ধ করুন। এতে চা পাতা, দারুচিনি আর লবঙ্গ দিন। সামান্য জ্বাল দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এতে সামান্য মধু মেশাতে পারেন।

আরো যা করবেন

  1. সর্দিজ্বরের সময় উষ্ণ পরিবেশে থাকুন। এজন্য সব সময় উষ্ণ পোশাক পরে থাকা জরুরী। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
  2. শোবার ঘরকে যথাসম্ভব উষ্ণ রাখুন। স্যাতসেতে পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।  
  3. সব সময় গরম পানীয় পান করুন। এই সময় পানি পানের মাত্রা বাড়িয়ে দিন। এতে অ্যাজমা বা শ্বাষ কষ্টের রোগীদের জন্য এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
  4. গলা ভাঙ্গা সমস্যা থাকলে লবন মেশানো পানি দিয়ে গড়গড়া করুন।
  5. এই সময় পর্যাপ্ত ঘুম জরুরী। ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাজেই ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরের সময় বিশ্রাম নিলে বা বেশি ঘুমালে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব।   

আরও পড়ুন

Link copied