এই প্রথম দেশে মরণোত্তর কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২৩, ০২:২৯ পিএম


এই প্রথম দেশে মরণোত্তর কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন

ছবিঃ প্রতীকী

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রথমবারের মতো মরণোত্তর (ব্রেন ডেড) রোগীর শরীর থেকে নেওয়া দুটি কিডনি দুজনের দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপনের (ট্রান্সপ্ল্যান্ট) সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টা পর্যন্ত দুটি কিডনির একটি প্রতিস্থাপন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। অন্যটি প্রতিস্থাপন করা হয় কিডনি ফাউন্ডেশনে।

সারা ইসলাম নামের (২০) এক তরুণীর দান করা কিডনি দুই নারীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ওই তরুণী কর্নিয়াও দান করে গেছেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটি ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট নামে পরিচিত। বিএসএমএমইউতে ট্রান্সপ্ল্যান্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজটির ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল। আর কিডনি ফাউন্ডেশন ট্রান্সপ্ল্যান্টে নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক এ কে এম খুরশিদুল আলম।

অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জেনেটিক ডিজিজে আক্রান্ত ২০ বছর বয়সী রোগী সারার বিএসএমএমইউতে একটি সার্জারি হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। সে ব্রেন ডেথের দিকে যাচ্ছে বুঝতে পেরে আমরা তার মাকে কাউন্সেলিং করি।

তার স্কুলশিক্ষক মা সারার দুটি কিডনি ও দুটি কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্টের অনুমতি দেন। সারা আগেই তারা কিডনি ও কর্ণিয়া দান করার জন্য তার মাকে বলেছিল। আমরা কিডনি দুটি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলেও কর্ণিয়া দুটি এখনও সংরক্ষিত আছে। বিএসএমএমইউতে কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার দলে ছিলেন হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদ মো. সাইফুল হোসাইন, সহযোগী অধ্যাপক ফারুক হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র ঘোষসহ ১৫ চিকিৎসক।

তারা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে দাতার কাছ থেকে কিডনি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। অস্ত্রোপচারে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। এরপর কিডনিটিকে প্রতিস্থাপনযোগ্য করতে আধা ঘণ্টা লাগে। কিডনি প্রতিস্থাপনে সময় লাগে আরও দুই ঘণ্টা।

এদিকে, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বিকেল তিনটায় বিএসএমএমইউতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।

সম্পর্কিত

আরও পড়ুন

Link copied