আমেরিকা চাচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের পাশে থাকুক বাংলাদেশ!
প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারী ২০২৩, ০৯:৩২ পিএম

ছবিঃ প্রতীকী
সম্প্রতি অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক কারণে চীন এবং আমেরিকা উভয় পরাশক্তি বাংলাদেশকে পাশে চাইছে। সম্প্রতি আমেরিকা বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি সামরিক চুক্তি করতে চাইছে।
যদিও ইতিহাস সাক্ষী আছে এই পরাশক্তি দেশগুলি নিজের স্বার্থ ছাড়া কোনদিন কারো কথা ভাবেনি। বর্তমান সময়ে আমেরিকার এই প্রস্তাবে বাংলাদেশ কিছুটা বিব্রত বোধ করছে। কারণ এই অঞ্চলে আমেরিকা স্বার্থের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে রয়েছে চীন। রয়েছে ভারতও, চীনের শত শত কোম্পানি এখন বাংলাদেশে ব্যবসা করছে।
শুধু পদ্মা সেতু নয় বাংলাদেশের গত কয়েক দশকে পরীক্ষা সমাগত যে অগ্রগতি হয়েছে, তাতে চীনের বিপুল সাহায্য রয়েছে। বাংলাদেশ এখন কি করবে, কার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে?
সামনে বাংলাদেশের নির্বাচন রয়েছে। অথচ বাংলাদেশের নির্বাচনের মেঘ ঘনালেই আমেরিকা, জাপান, পশ্চিমের দেশগুলোর সক্রিয়তা বাড়তে থাকে। নড়েচড়ে বসে চীন ও রাশিয়া।
শুধু নির্বাচন নয়। বাংলাদেশ যে কোন রাজনৈতিক সংকটে এলেই তৎপর হতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশে দেশে নিযুক্ত বিদেশ রাষ্ট্রদূতদের।
মুক্তিযুদ্ধ থেকে যা শুরু হয়েছিল বর্তমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে। বাংলাদেশের নির্বাচনে সর্বদাই এইসব দেশের প্রভাব কাজ করে বলেই মনে করে সাধারণ বাংলাদেশের জনগণ।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সকালে অত্যন্ত গোপনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকার শাহিনবাগে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে যান।
প্রায় এক দশক ধরে সাজিদুল নিখোঁজ। সাজেদুল এর বোন আফরোজা ইসলাম আখি বর্তমান সরকারের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে সংগঠন "মায়ের ডাক" একত্রিত হয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।
হঠাৎ নিখোঁজ বিএনপি নেতার বাড়িতে কেন আমেরিকান রাষ্ট্রদূত? বিএনপি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে বিদেশ মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন।
সেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান।
অপরদিকে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে গেছে রাশিয়াও। তবে কে এবার রাজনৈতিক ভাবে পথ পরিবর্তন হতে চলেছে বাংলাদেশ?
বারংবার এ পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন এলেই কেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে? এইসব নানান প্রশ্ন এখন আন্তর্জাতিক মহলে।